এনএনবি নিউজ
সাগরে সৃষ্ট স্থল নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। এর প্রভাবে গত কয়েকদিনে ধরেই দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। গতকালও তার ব্যতিক্রম হয়নি, ভোর থেকেই রাজধানীতে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। এরফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামীরা পড়েন বিপাকে। বৃষ্টি আর যানবাহন সংকটে পড়ে ভোগান্তি পোহাতে হয় তাদের।
এদিকে লঘুচাপ অব্যাহত থাকায় গতকাল সারাদিন থেমে থেমে দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলে বৃষ্টি হেেছ। সমুদ্রবন্দরে আগের মতোই ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং নদী বন্দরে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে খেপুপাড়ায় ১১৬ মিলিমিটার। এছাড়া কক্সবাজারে ৮৭ ঢাকায় ৩২, চট্টগ্রাম ৫, রংপুরে ৩, রাজশাহীতে ৫৩, খুলনায় ২৩, সিলেটে ৩৮ এবং বরিশালে ২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া সকাল থেকে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ ভোর ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, আজ লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশের বৃষ্টি হচ্ছে। আজ এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে বলে তিনি জানান।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত স্থল নি¤œচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ হিসেবে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও আশেপাশের এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আগামি ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে সর্বশেষ আবহাওয়া পরিস্থিতিতে বলা হয়, সুস্পষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরগুলো, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
পূর্ণিমা ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১ থেকে ২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসাথে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
COMMENTS