এনএনবি নিউজ
ইডেন মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌসকে 'হেনস্থা ও মারধরের' অভিযোগে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে এর একাংশ।
রোববার দুপুরে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন সহসভাপতি সুস্মিতা বাড়ৈ; তার সঙ্গে আরও ২০/২৫ জন ছিলেন।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা এবং সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিলে গণপদত্যাগেরও হুঁশিয়ারি আসে সংবাদ সম্মেলন থেকে।
সুস্মিতা বাড়ৈ বলেন, “আমরা ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি। সেই সঙ্গে ছাত্রলীগের গঠিত তদন্ত কমিটিকে আমরা মানি না। রীভা ও রাজিয়াকে বহিষ্কার করে তদন্ত করতে হবে।”
রীভা ও রাজিয়ার বিরুদ্ধে ‘সিট বাণিজ্য ও চাঁদাবাজির’ অভিযোগ এনে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় শনিবার রাতে জান্নাতুল ফেরদৌসকে হেনস্তা ও মারধর করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সমর্থকরা রাতে তাকে শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষে আটকে রেখে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেন জান্নাত।
এ ঘটনায় মধ্যরাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। বিক্ষোভকারীরা রীভা ও রাজিয়ার বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
এরপর দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ এসেছে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি তিলোত্তমা শিকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেনজির হোসেন নিশি।
এ কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে সুস্মিতা বাড়ৈ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “জান্নাতুল ফেরদৌসের উপর নির্যাতনের ঘটনায় যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে সেটি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।”
ওই তদন্ত কমিটিই ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ মন্তব্য করে সুস্মিতা বলেন, “রোকেয়া হলের এজিএসকে মারধরের ঘটনায় পিবিআই-এর তদন্তে বেনজির হোসেন নিশি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
“নিশি নিজেই মামলার আসামি। মামলার আসামি কীভাবে তদন্ত কমিটিতে থাকতে পারে। এই তদন্ত কমিটি উল্টো আমাদেরকে দোষারোপ করে রিপোর্ট প্রদান করবে।”
COMMENTS