রংপুর রংপুর থেকে রুকসানা রাফা
রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী(আ'লীগের বিদ্রোহী) মোসাদ্দেক হোসেন বাবলুর বিরুদ্ধে জনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইউপি সদস্যদের ভোট কেনার অভিযোগ উঠেছে। এ সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকালে এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন আ.লীগ প্রার্থী ইলিয়াস আহমেদ।
রেকর্ডের বিষয়ে জানা গেছে, রেকর্ডের এক প্রান্তে ছিলেন সদর উপজেলার সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য মাহাবুবা খাতুন। এছাড়াও আরও একটি অডিও ক্লিপ প্রকাশ পায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলামের।সেখানেও একই চিত্র উঠে আসে তার কথায়।
পুরো অডিও ক্লিপ থেকে শোনা যায়, আসন্ন রংপুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের প্রতি সদস্যকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে বিতরণ করা হয়েছে। ভোট কেনার জন্যই এ টাকা দেয়া হয়েছে।
নিজের পরিচয় দিয়ে ইউপি সদস্য মাহাবুবা অডিও ক্লিপে বলেন, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু লাহিড়ীর হাটে একটি অফিসে তাকে ভোট দেয়ার জন্য এ টাকা দেন। এ সময় সদ্যপুষ্করিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল রানা,তাঁর শশুর উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান ফুলু ও জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বকসি উপস্থিত ছিলেন।
অডিও ক্লিপের বিষয়টি নিশ্চিত করে ওই দুই ইউপি সদস্য বলেন, ঘটনা যেটা সত্য আমরা সেটাই বলেছি। আমরা ওই টাকার খাম ফেরৎ দিব। তাই খরচ করিনি।
এদিকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে ভোটারদের মাঝে টাকা বিতরণের সময় জেলা আওয়ামী লীগ নেতার উপস্থিতি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে পুরো রংপুরজুড়ে।
সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাছিমা জামান ববি বলেন, সদর উপজেলা পরিষদ থেকে শুরু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবখানে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম বকসি নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করে আসছেন।
তবে উপস্থিত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বকসি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কেউ ষড়যন্ত্র করতেছে।
আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমি কোথাও যাইনি বাসায় ছিলাম।
COMMENTS