করোনাকালীন শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২১ জন শিক্ষককে সম্মানিত করলো জানো প্রকল্প । রবিবার রংপুর আরডিআরএস এ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানটিকে আলোকিত করেন অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী পরিচালক কবি নজরুল ইনষ্টিটিউট মোহাম্মদ জাকীর হোসেন ।
এতে সভাপতিত্ব করেনমাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা, রংপুর অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর এস এম আব্দুল মতিন লস্কর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা, মোঃ আখতারুজ্জামানসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এনায়েত হোসেন ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, নীলফামারী মোঃ শফিকুল ইসলাম। এছাড়া ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের মুহাম্মদ ফয়েজ কাউছার, প্রজেক্ট ম্যানেজার-জানো প্রকল্প ও ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর জানো প্রকল্প ফোকাল আবু জাফর নূর মোহাম্মদসহ প্রকল্পের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ও রংপুর ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মাননাপ্রাপ্ত ২১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে, অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের সহ-অর্থায়নে, কেয়ার বাংলাদেশ ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহায়তায় এবং ইকো-সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) কর্তৃক বাস্তবায়নকৃত জয়েন্ট এ্যাকশান ফর নিউট্রিশন আউটকাম (জানো) প্রকল্পের আওতায় রংপুর জেলার ৩ টি উপজেলার (গংগাচড়া, কাউনিয়া ও তারাগঞ্জ) নির্বাচিত ৭৯টি মাধ্যমিক ও ২১টি মাদ্রাসায় এবং নীলফামারী জেলার ৪ টি উপজেলায় (নীলফামারী সদর, ডোমার, জলঢাকা, কিশোরগঞ্জ) নির্বাচিত ১৬৯টি মাধ্যমিক ও ২৮টি মাদ্রাসায় সরকারের সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করছে।
কোভিড-১৯ অতিমারির বিশেষ পরিস্থিতির সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ায় কিশোর-কিশোরীরা অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীরা যেন বাড়িতে থেকেই লেখাপড়া করতে পারে সে জন্য জানো প্রকল্পের সহযোগিতায় রংপুর ও নীলফামারী জেলার ২১ জন শিক্ষক ফেইসবুকে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস পরিচালনা করেন। সময়োপোযোগী ও কার্যকরী এই চমৎকার উদ্যোগে অসামান্য ভূমিকা রাখায় জানো প্রকল্প সম্মানিত শিক্ষকদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সম্মাননা জানাতে রবিবার বেগম রোকেয়া হল, রংপুর আরডিআরএস এ এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের জন্য জানোর করোনাকালীন উদ্যোগকে ব্যাপক স্বাগত জানান এবং সম্মানিত শিক্ষকদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ”শিক্ষার্থীদের মধ্যে জানার আগ্রহ তৈরি করতে হবে, গৎবাধা পড়াশোনার বাইরে এসে শিখনকে আকর্ষনীয় করে তুলতে হবে তবেই যেকোন পরিস্থিতিতেই শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। আর এক্ষেত্রে ডিজিটাল মাধ্যম অন্যতম সময়োপোযোগী ও কার্যকরী একটি মাধ্যম ইতোমধ্যেই জানোর মাধ্যমে শিক্ষকরা দেখিয়ে দিয়েছেন। আমি আশা করি এমন চমৎকার উদ্যোগ ছড়িয়ে যাবে সব জায়গায়।
COMMENTS