রংপুর সিটি কর্পোরেশনের(রসিক) ভোট ২৭ ডিসেম্বর। ভোট ঘিরে রংপুর পরিণত হয়েছে উৎসবের নগরীতে। ভোট চাইতে ছুটে চলছেন জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী ও সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। আ'লীগের মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুতফা ডালিয়া
তারা সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাত-দিন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন তিনি। কখনো হেঁটে, কখনো রিকশায়, কখনো মোটরসাইকেলে চেপে প্রচার-প্রচারণা আর গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন এই প্রার্থী।
প্রতিদিন বেলা ১১টায় প্রচারণা শুরু করেন, হাতে থাকে লিফলেট, পেছনে নেতাকর্মী। একেকদিন একেক এলাকায় উন্নয়নের বার্তা নিয়ে হাজির হচ্ছেন লাঙ্গলের ও নৌকার প্রার্থী। এসব গণসংযোগ ও নির্বাচনী পথসভায় নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন। মোস্তফার গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান, রংপুর মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক এস.এম ইয়াসির, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর জেলার আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ চৌধুরী নান্টু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টি রংপুর মহানগর সহ সভাপতি লোকমান হোসেন, জাহেদুল ইসলাম ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব আনিছুর রহমান আনিছসহ জাপার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
রসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী এ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেছেন, 'একটি আধুনিক রংপুর সিটি করপোরেশন গড়তে নগরবাসী এবার নৌকা মার্কায় ভোট দিবেন '।
রোববার বেলা ১২টার দিকে মহানগর যুবলীগের আয়োজনে নগরীর সিটি বাজার এলাকায় গনসংযোগে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। ডালিয়া বলেন, দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের দিক থেকে রংপুর সিটি করপোরেশন অনেক পিছিয়ে আছে।তাই এবার পরিকল্পিত উন্নয়ন ও আধুনিক সিটি করপোরেশন গড়ার স্বার্থে নৌকায় ভোট দিবে নগরবাসী।
গনসংযোগ কালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, মহানগর যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার,সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ, মহানগর মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ইসরাত আরা বর্ন্যা,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এদিকে প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালাতে অনুরোধ জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল বাতেন বলেন, আমরা চাই অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে। এজন্য প্রার্থী ও ভোটারসহ সবার সহযোগিতা থাকা চাই। নির্বাচনের প্রচারণায় যেন বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ না ওঠে, সে ব্যাপারে প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকদের সজাগ থাকতে হবে। আচরণবিধি ভেঙে প্রচার চালালে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সিটিতে তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এ সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। ওই নির্বাচনে একটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হলেও এবার পুরো সিটির ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
COMMENTS