২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিবেন জো বাইডেন। এবার শপথের থিম- ‘আমেরিকা ইউনাইটেড’। অথচ দেশের ১৫০ বছরের ঐতিহ্য তছনছ করে এ বার উত্তরসূরির শপথে থাকবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু তাঁর কট্টর সমর্থকেরা? এফবিআই বলছে, ওই দিন ফের ঝামেলার আশঙ্কা রয়েছে ওয়াশিংটন-সহ ৫০টি প্রদেশের রাজধানীতে। এ ার আরও ভয়ঙ্কর সশস্ত্র হামলা হতে পারে ধরে নিয়ে আগেভাগেই তৈরি ন্যাশনাল গার্ড। অভিযোগ, ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে তা-ব শুরু হওয়ার প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল সেনা। এ বার তাই আগাম ব্যবস্থা নিতে প্রতিরক্ষা সচিব চিঠি লিখেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটর ক্রিস মার্ফি। প্রথা অনুযায়ী, ক্যাপিটল ভবনের মাঠে শপথ নেওয়ার কথা বাইডেন ও ভাবী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের। ডেলাওয়্যার থেকে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনুষ্ঠান খোলা মাঠে হলেও নিরাপত্তা নিয়ে আমি বিন্দুমাত্র উদ্বিগ্ন নই।’
ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান ড্যানিয়েল হোকানসন জানিয়েছেন, শনিবারের মধ্যেই ওয়াশিংটনে ১০ হাজার সেনা পৌঁছে যাবে। স্থানীয় প্রশাসন চাইলে সংখ্যাটা ১৫ হাজারও হতে পারে। একটাই স্বস্তি, ক্যাপিটলে হামলার দায় না-নিলেও এফবিআইয়ের সতর্কবার্তা পাওয়ার পরে ওয়াশিংটনে জরুরি অবস্থা জারির অনুমতি দিয়েছেন। যা বলবৎ থাকবে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৬ থেকে ২৪ পর্যন্ত শহরের বেশ কিছু এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
সে দিন ক্যাপিটলে যা হয়েছিল, তা নিয়ে প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিন্টন একটি দীর্ঘ নিবন্ধে লিখেছেন, ‘সে দিনের তা-ব আসলে ট্রাম্পের উস্কানিতে শ্বেতাঙ্গ আগ্রাসনের একটা বহিঃপ্রকাশ। অনেকটা গভীরে যাওয়া এর শিকড় যেন হঠাৎ প্রকাশ্যে এল। শুধু বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নয়, যে কংগ্রেস সদস্যেরা সে দিন ট্রাম্প ও উন্মত্ত সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদেরও ক্ষমতাচ্যুত করা উচিত। কিন্তু শুধু এ সব করেই আমেরিকা থেকে শ্বেত-সন্ত্রাসকে হটানো যাবে না।’
ট্রাম্প-সমর্থকদের তা-বের দিনে ক্যাপিটল হিলেই ছিলেন পেন্স। হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সেনেটের চেম্বার থেকে বাকিদের সঙ্গে তাঁকেও কার্যত পালাতেই হয়েছিল সে দিন। ট্রাম্পের উপরে ভয়ঙ্কর খেপে গিয়েছিলেন পেন্স। মাঝখানে দু’জনের কথাই হয়নি। কাল হল গোপন বৈঠকে। এবং বোঝা গেল, ‘বন্ধুত্ব’ এখনও অটুটই।
এনএনবি নিউজ/ ডিকে