অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম। চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া মামলার বিষয়ে বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।’
গত ৫ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পুলিশ পরিদর্শক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন আদালতে এ প্রতিবেদন জমা দেন।
এর আগে, রোববার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস প্রতিবেদনটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান।
গত ২৫ অক্টোবর রাতে কলাবাগানের ট্রাফিক সিগন্যালে হাজী সেলিমের একটি গাড়ি থেকে দুই-তিন জন ব্যক্তি নেমে ওয়াসিফ আহমেদ খানকে ফুটপাতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারধর করে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধানমন্ডি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। বর্তমানে গ্রেফতার মিজানুর ও গাড়ি ধানমন্ডি থানায় রয়েছে।
ওয়াসিফ আহেমদ এজাহারে অভিযোগ করেন, তিনি নীলক্ষেত দিয়ে বই কিনে তার বাসার দিকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন। তার স্ত্রীও সঙ্গে ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। ওয়াসিফ আহমেদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে গাড়িটি চালিয়ে কলাবাগানের দিকে আসে। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমেদও তাদের পেছনে পেছনে আসেন। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ তার মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবিহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো। এই বলে তাকে কিল-ঘুসি দিতে থাকে। এরপর তারা পালিয়ে যায়।’
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩-এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
এনএনবি নিউজ/ ডিকে