চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসি বলেছেন, পৃথিবীতে অনেক প্রমাণ আছে তাদের ভাষা কালের স্রোতে বিলপ্ত হয়ে গেছে। সেখানে ইউনেস্কোর মাধ্যমে বাংলাভাষা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাওয়া মহাগৌরবের বিষয়। বাঙ্গালি জাতির জন্য ২১ শে ফেব্রুয়ারি বহু তাৎপর্য বহন করে। প্রভাতফেরি কিংবা শহিদ মিনারে ফুল দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাঙ্গালি জাতি এ দিনকে ধারণ ও লালন করে। গতকাল ২১ ফেব্রুয়ারি রোববার রাতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কর্তৃক জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ওসিনিয়র সহকারী কমিশনার নাজমা বিনতে আমীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আরোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও মহানগরীর ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক চৌধুরী সৈয়দ। মূখ্য আলোচক ছিলেন বিশিষ্ঠ সাহিত্যিক ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। সভায় জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক আবুল মোমেন বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি শোক থেকে সংগ্রামে পরিণত হয়েছে। পাকিস্তানকে বাঙ্গালি বুজিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে যে আমরা তোমাদের সাথে নেই। তার বাস্তবচিত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন। সকল সূচকেই বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, এ প্রজন্মকে বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে ধারণ করতে হবে। সকল ক্ষেত্রে বাংলা ব্যবহার করতে হবে। বাংলাই বাঙ্গালির গর্বের জায়গা। ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে বাংলাভাষা। বিশ্বের ১৮৮ টি দেশ আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে পালন করায় বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল হয়েছে। শেষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার এ বি এম আজাদ এনডিসিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ। সবশেষে শিল্পীরা মাতৃভাষায় কবিতা আবৃত্তি ও একুশের গান পরিবেশন করেন।